If You Do Not Want To Be Blind At a Young Age
অল্প বয়সেই অন্ধ হতে না চাইলে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন.....
যেদিকে পরিস্থিতি এগচ্ছে তাতে তো মনে হয় আগামী কয়েক বছরে চশমা বিক্রেতারা এক এক জন মিলেনিয়ার হয়ে যাবেন। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হাত মিলিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল, তাতে দেখা গেছে যে যে দেশে অন্ধত্বের সংখ্যা গত কয়েক বছরে চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, তাদের মধ্যে ভারত অন্যতম। বলতে পারেন আমাদের দেশের এমন হাল কেন? এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে পুষ্টির অভাব এবং দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করা, সেই সঙ্গে অবসর সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা টিভি দেখার অভ্যাস প্রভৃতি নানা কারণে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, একাধিক কেস স্টাডি অনুসারে চোখে কম দেখার পর ডাক্তার দেখানোর যে প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়েও ওয়াকিবহাল নয় অনেকে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কেন আমাদের দেশের এমন হাল। এখন প্রশ্নটা হল, স্কুল থেকে কলেজ, অফিসে তো বটেই কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা যে হারে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আপনিও কি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ভয়ঙ্কর একটা জীবন কাটাতে চান নাকি? উত্তর যদি না হয়,তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতেই হবে। কারণ এমন কিছু খাবারের সন্ধান আজ এই লেখাটি দিতে চলেছে যা একদিকে যেমন শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করবে, তেমনি অন্যদিকে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে যে যে খাবারকে আমাদের রোদের সঙ্গী বানাতেই হবে, সেগুলি হল…
পালং শাক : বাঙালির প্রিয় এই শাকটির শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,বি,সি এবং ই। সেই সঙ্গে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক সহ একাধিক উপকারি খনিজ, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার অভ্যাস করলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানির মতো সমস্যা দূরে থাকে। সেই সঙ্গে কর্নিয়ার কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
গাজর : প্রচুর মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে এই সবজিটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তাই থাকে না। কারণ বিটা-ক্যারোটিন সার্বিকভাবে চোখকে ভাল রাখতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। এক কথায় বলা যেতে পারে চোখের জন্য মহৌষধি হল এই সবজিটি। তাই নয়নের খেয়াল রাখতে গাজরকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন!
ব্রকলি : সুপার ফুডের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকা এই সবজিটি খাওয়া মাত্র শরীরে ভিটামিন বি, লুটেইন এবং জিয়াএক্সেনথিনের মাত্রা বাড়তে থাকে, যার প্রভাবে কমে আসা দৃষ্টিশক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে রেটিনার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
মাছ : চোখকে ভাল রাখতে মাছের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো বাবা-মায়েরা সেই ছোট থেকে আমাদের ছোট-বড় নানা সাইজের মাছ খাওয়ানোর জন্য় এতটা পিছনে পরে থাকেন। আসলে মাছের শরীর রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চোখের ড্রাইনেস যেমন কমায়, তেমনি শরীরে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান যাতে চোখের উপর কোনও কু-প্রভাব ফেলতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। সেই কারণেই তো সপ্তাহে কম করে দুদিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
জাম : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল এমন একটি উপাদান যা শুধু চোখ নয়, শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে জামে। সেই সঙ্গে এই ফলটিতে রডোস্পিন নামে আরেকটি উপাদান রয়েছে, যা চোখের অন্দরে সেলুলার রিজেনারেশন বাড়িয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, চোখে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতেও এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই চোখ নিয়ে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে জামের সঙ্গ ছাড়লে চলবে না।
বাদাম : মাছের মতো বাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই যারা মাছ খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না, তারা ইচ্ছা হলে এক মুঠো করে বাদাম খেতেই পারেন। তবে ভুলেও ভাজা বাদাম খাওয়া কিন্তু চলবে না। কারণ ভাজা বাদাম খেলে কোনও উপকারই মেলে না, উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, টানা এক সপ্তাহ যদি মধু এবং বাদাম এক সঙ্গে খেতে পারেন, তাহলে ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।
No comments
Follow Me ....